ডিজিটাল যুগেও সরকারী অফিস

Spread the love

ডিজিটাল যুগেও সরকারী অফিস
– আশিকুজ্জামান জুয়েল

এই শীতে এক সরকারী অফিসের বড় এক কর্মকর্তার সর্দি লেগেছে। তিনি তার পিয়ন কে বেল দিলেন। পিয়ন রুমে ঢুকতে বস তাকে বললেন টিসু দিতে। পিয়ন এদিক সেদিক খুঁজে কিন্ত টিস্যু পায়না। বসের সর্দি বের হওয়া শুরু হয়েছে। পিয়ন বলল স্যার টিসু পাওয়া যাচ্ছেনা। বস চিৎকার দিয়ে বললেন এক চড়ে তোর দাঁত ফেলে দিব টিসু নেই কেন?

ডাক কেরানীকে। কেরানী সাহেব দৌড়ে রুমে ঢুকলেন। ষ্টোরকিপার কে ফোন লাগালেন স্যারের রুমে টিসু পাঠাতে। ষ্টোরকিপার জানালেন ষ্টক রেজিষ্ট্রারের নিকট থেকে অনুমতি নিতে। ইতিমধ্যে বসের সর্দি নাক বেয়ে ঠোটে পৌঁছেছে।বস কথা বললেই সর্দি মুখের মধ্যে যাবে। অবস্থা দেখে কেরানী দৌড়াল ষ্টক রেজিষ্ট্রারের কাছে। ষ্টক রেজিষ্ট্রার জানাল স্যারের জন্য এ মাসের বরাদ্দ আগেই দেও্য়া হয়ে গেছে কাজেই নতুন বরাদ্দের জন্য বাজেট অফিসারের নিকট গিয়ে আগে বাজেট বরাদ্দ করাতে হবে।

অফিসের সব কর্মচারী এবার কাজ ফেলে একজন গেল বাজেট কর্মকর্তার রুমে একজন গেল আরো উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট ষ্টক রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে। বসের সর্দি এবার ঠোঁট পেরিয়ে থুতনিতে এসেছে। উর্দ্ধতন বস দুজন কর্মকর্তা পাঠালেন কেন তার এ মাসের বরাদ্দ এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল তার তদন্ত করতে।তদন্ত কর্মকর্তা দুজন এসে দেখল বসের সর্দি নদীর নালার মতো গ্রীবাদেশে পৌছেছে। তারা বসের সব কর্মচারীকে একত্রিত করে জেরা করে জানতে পারলেন পিয়ন টিসু পেপার দিয়ে প্রতিদিন কাপ পিরিচ ও থালা পরিষ্কার করে ফলে টিস্যু পেপার তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তাদ্বয় বিজয়ীর হাসি হেসে পিয়নের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করল। উর্দ্ধতন অফিসার পিয়নকে দোষী সাব্যস্ত করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে বাজেট বরাদ্দে সই করে রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে অতি দ্রুত ষ্টোরকিপারের নিকট পাঠালেন।ষ্টোরকিপারের নিকট থেকে পিয়ন অতি দ্রুত টিস্যু পেপার নিয়ে বসের রুমে প্রবেশ করলেন।

আরও পড়ুন >> স্বপ্নে বাড়ী ঘর দেখলে আপনার কি হতে পারে

Offer View >> স্যামসাং হ্যান্ডসেট কিনলেই রবি দিচ্ছে আকর্ষণীয় অফার

উল্লেখ্য প্রতিটি অর্ডার অনলাইনে পাঠানো হলো ফলে কাজটা একটু দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা গেল। যদিও প্রতিটি অর্ডারের হার্ডকপি সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় যদি নেটের লাইন বন্ধ হয়ে যায় এ আশংকায়। এদিকে বসের সর্দি তার গলা পেরিয়ে দামী ব্লেজারে লাইন করা শুরু করেছে।অন্যদিকে সর্দির লাইন তার ত্বক্বে কুটকুট করে কামড়াচ্ছে ফলে তিনি আর থাকতে না পেরে তার দামী ব্লেজারের হাতা দিয়ে সর্দির লাইনে একটা ঘষা দিলেন সর্দি তার মুখ থুতনি, ব্লেজারের গলা ও হাতায় মাখামাখি হয়ে গেল। অবশেষে বস টিস্যু পেলেন এবং তার সর্দি পরিষ্কার করলেন।

বিঃদ্রঃ- ঘটনাটি সম্পুর্ণ রুপক অর্থে বানানো হলেও ১০০% সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত।

Check Also

আমাদের গ্রাম

আমাদের গ্রাম – কৌশিক দাস

Spread the loveআমাদের গ্রাম চলে আঁকেবাঁকে দুই ধারে গাছ মাটি ধরে রাখে। মাঠে মাঠে ধান, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *