চেক হারিয়ে গেলে ও ডিজঅনার মামলা – চেক হারিয়ে গেলে কি করবেন
আপনার মূলবান চেকটি হারিয়ে গেলে সাথে সাথে নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। চেক হারিয়ে যাওয়ার তথ্য আপনি যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই ব্যাংকে জানিয়ে দেওয়া এবং চেকটি স্টপ করাতে হয়। হারানো চেক উদ্ধারের জন্য আপনি মামলা করতে পারেন।
১। চেক বই হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে অবহিত করুন।
২। নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরী করুন।
৩। জিডি কপি সহ ব্যাংকে লিখিত আবেদন করুন।
৪। নতুন চেক বই ইস্যুর জন্য আবেদন করুন।
৫। নিজ স্বাক্ষর দিয়ে নতুন চেক বই উত্তোলন করুন।
৬। নতুন চেক বই উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ প্রদান করুন।
৭। পুরাতন চেক বইয়ের পাতা দিয়ে কেউ কোনরূপ জালিয়াতি না করতে পারে ব্যাংকে অবহিত করুন।
More >> OPPO A76 Mobile Full Specification & Price
চেক ডিজঅনার হলে করণীয়
আপনি কাউকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চেকে উল্লেখ করে চেক লিখলেন কিন্তু একাউন্টে উক্ত টাকা না থাকলে ব্যাংকের পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব হয় না এবং তখন চেক প্রত্যাখান করা হয়, যা ব্যাংকের ভাষায় চেক ডিজঅনার বলা হয়।
ব্যাংকের চেক ডিজঅনার হওয়া চেকের বাহক একাউন্ট হোল্ডার নিজে হলে সেটা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু যদি এমন হয় যে একাউন্ট হোল্ডার অন্য কাউকে চেক লিখে দিলেন এবং সেটি ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত হল, তবে সেটি একটি বড় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
চেক প্রতারিত হওয়ার মামলা
চেক ডিজঅনার
পাওনাদারের নিকট হতে যদি চেকের মাধ্যমে প্রতারিত হন, তাহলে চাইলেই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এই অপরাধের বিচারের জন্য হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন রয়েছে। এই আইনের ১৩৮ নম্বর ধারায় আপনি প্রতারক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, চেক ডিজঅনারের ক্ষেত্রে কিছু সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে আর প্রতিকার পাওয়া যায় না। যেকোনো চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে ব্যাংকে উপস্থাপন না করলে চেকটির কার্যকারিতা আর থাকে না।
আরও পড়ুন >> বাংলা ব্যাকরণের ১০০টি সন্ধি বিচ্ছেদ
চেক ডিজঅনার মামলা শর্তাবলী
১। চেকটি ইস্যুর তারিখ থেকে ছয় মাস সময়ের মধ্যে ব্যাংকে ক্যাশ করার জন্য জমা দিতে হবে।
২। চেক ডিজঅনার হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে একাউন্টধারীকে চেক ডিজঅনার হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে চেকে উল্লিখিত অংকের টাকা প্রদানের দাবি জানাতে হয়।
৩। ত্রিশ দিনের মধ্যে দাবি না জানালে সেটি আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণ যোগ্য হবে না।
৪। প্রাপক বরাবর তার বাসার ঠিকানা কিংবা ব্যবসায়িক ঠিকানা প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের ব্যবস্থাসহ রেজিস্টার্ড ডাকে নোটিশ পাঠাতে হয়।
৫। এছাড়া এটা সম্ভব না হয়, অন্তত একটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হয়।
৬। কোনোভাবেই নোটিশ প্রেরণ না করে সরাসরি মামলা করা যাবে না।
৭। এ ধরনের মামলার জন্য নোটিশ জারি ও মামলা করার জন্য একজন আইনজীবীর নিয়োগ করতে হবে।
চেকডিজঅনার হাওয়ার শাস্তি
১। চেক ডিজঅনার অপরাধের শাস্তি।
২। এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিন গুণ পরিমাণ অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডেও দন্ডিত হতে পারে।
৩। এ ক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ আছে।
৪। তবে আপিল করার পূর্বশর্ত হচ্ছে, চেকে উল্লেখিত টাকার কমপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ যে আদালত দন্ড প্রদান করেছেন, সেই আদালতে জমা দিতে হবে।
৫। একাউন্টধারী চেকে উল্লিখিত অর্থের ৫০% পরিশোধ করতে সক্ষম না, হলে আপীল করা যায় না।
৬। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং জরিমানাও হতে পারে।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন |