”নভেল করোনা ভাইরাস’‘নামটিই এখন আতঙ্কের মত হয়ে দাঁড়িয়েছের।চায়না,ইতালির,যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ নভেল করোনা ভাইরাসের কাছে নত শিকার করেছে।এমনকি সৌদি আরবের মত দেশ যা আজ পর্যন্ত ঘটে নি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সৌদি করতিপক্ষ ওমরা হজ্জ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে।বাংলাদেশের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা এখন সবারই জানা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়নিজ এম্বাসেডর লি জিমিং বলেছেন বাংলাদেশ এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।এর কারন হিসেবে তিনি বেশ কিছু কারন দেখিয়েছেন ।কেরানীগঞ্জের চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এ পরিদর্শনে গিয়ে পদ্মা ব্রিজের রেলওয়ে লিংক প্রজেক্টের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন >> ট্রাস্ট ব্যাংক বাড়ী নির্মানের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সহজেই
লি জিমিং জানান- করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ গুলো সহ মধ্যপ্রাচ্চের দেশ গুলতে আক্রমণ করেছে,বাংলাদেশের অনেক মানুষ এইসব দেশ গুলোতে কাজ করে এবং এইসব দেশ গুলোর সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্পর্ক ও রয়েছে তাই বাংলাদেশে এর ঝুকি সবথেকে বেশি।
তিনি আরও বলেন যে – করোনা ভাইরাস পৃথিবীর অনেক গুলো দেশে আক্রমণ করেছে এটা জানার পরেও বাংলাদেশের অথোরিটিশুধুমাত্র চায়না ফেরত মানুষদেরই স্ক্রিনিং করছে।এবং বাংলাদেশে এই স্ক্রিনিং করার যথেষ্ট জনবল ও সরঞ্জাম ও নেই।
চায়নিজ এম্বাসেডর বাংলাদেশের সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে অবস্থানরত চায়নিজ নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেবার জন্য যেটাঅলরেডি চায়নিজ সরকার করেছে চায়নায় অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য।
চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে,তারা বাংলাদেশে কর্মরত চায়নিজ ওয়ার্কারদের জন্য বিভিন্ন সেফটি কার্যক্রম গ্রহন করেছে ।চায়নিজ অফিসাররা প্রতিদিন ২ বার করে বুড়িগঙ্গার কাছে একটি ফিল্ড হসপিটালে গিয়ে হেলথ চেকাপ করাচ্ছেন,করোনা প্রতিরোধ করতে।