একজন ঈমানদার স্ত্রী স্বামীর জন্য দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ

Spread the love

একজন ঈমানদার স্ত্রী স্বামীর জন্য দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পুরুষের জন্য চারটি বিষয়কে শুভলক্ষণ বলেছেন। আর তা হলো- নেককার নারী, প্রশস্ত ঘর, সৎ প্রতিবেশী এবং সহজ প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন। পক্ষান্তরে চারটি নিজিসকে কুলক্ষণা বলেছেন। তার মধ্যে একটি হলো বদকার নারী। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।

একজন ঈমানদার স্ত্রী স্বামীর জন্য দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো-
আল্লাহর জিকিরকারী রসনা (জিহ্বা)
কৃতজ্ঞ অন্তর এবং
একজন ঈমানদার স্ত্রী যে তার ঈমানের (দ্বীনের) ব্যাপারে তাকে (স্বামীকে) সহযোগিতা করে।

বর্তমানে সমাজে নারী প্রতি করা হচ্ছে নির্মম, নির্দয় নির্যাতন। এমন কোনো নির্যাতন নাই যাই করা হয় না। অথচ পৃথিবীতে একজন পুরুষ মানুষের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে নেককার স্ত্রী। সুতরাং দাম্পত্য জীবনে এ নারী যদি পুত-পবিত্র সচ্চরিত্রা হয়, তাহলে জীবন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়।

আর কুফরীর পর সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট বস্তু হচ্ছে কর্কশভাষীনী ও অসচ্চরিত্রা স্ত্রী। নাঊযুবিল্লাহ!

সমস্যা সংকুল জীবনেও শান্তির ফল্গুধারা বয়ে যায়। যে শান্তি নারী-পুরুষের বৈবাহিক জীবনের মাধ্যমে শুরু হয়। বিবাহিত জীবনে নেককার স্ত্রীর গুরুত্ব অত্যধিক। তাই ইসলাম স্ত্রীকে দিয়েছে সর্বোত্তম মর্যাদা। বৈবাহিক জীবনে নারী অধিকার সম্পর্কে কুরআন হাদিসের বক্তব্য তুলে ধরা হলো-

ইসলাম পূর্ব যুগে বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই মহিলাদেরকে পুরুষের মালিকানাধীন মনে করা হতো এবং একজন পুরুষ যত খুশী বিয়ে করতে পারত। ইসলাম নারীদের জন্য বিবাহকে বৈধ এবং আবশ্যক করেছেন। এ বিবাহের মাধ্যমে একজন নারীকে একটি সম্মানজনক আসনে সমাসীন করা হয়।

Google News বিস্তারিত জানতে Google News এর সঙ্গে থাকুন

দ্বীনের ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতার মর্মার্থ হলো- ঈমানদার স্ত্রী ধর্মীয় কার্যক্রম ও দ্বীনি দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে তার স্বামীকে সহযোগিতা করবে। যেমন- নামাজের সময় হলে তার স্বামীকে নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে; রমজান মাসের রোজা রাখার ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতা করবে। তাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, যদি মোহর রূপে অঢেল সম্পদও দেয়া হয় তা ফেরত নেয়া যাবে না। কেননা মোহর বিবাহের শর্ত হওয়ায় সেগুলো মহিলার মালিকানাধীন হয়ে যায়।

মোহর নির্ধারণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ পরস্পর ইজাব-কবুল করে একজন পুরুষ একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। স্ত্রী হিসেবে নারীকে এক স্বকীয় মর্যাদায় অধিষ্টিত করেছে ইসলাম। তাই স্বামীকে স্ত্রীর সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সদাচরণের ভিত্তিতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে জীবন-যাপন কর।’ (সুরা নিসা)

একজন ঈমানদার স্ত্রী-স্বামী

সংসার জীবন সুখের লক্ষ্যে আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের আবরণ স্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য আবরণ স্বরূপ।’ (সুরা বাকারা)

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘মহিলাদের পুরুষদের উপর যেরূপ অধিকার আছে তেমনি পুরুষদেরও মহিলাদের উপর অধিকার রয়েছে।’ (সুরা বাক্বারা)

অনুরূপভাবে একজন ঈমানদার স্ত্রী তার স্বামীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, পরিবারের আনুসাঙ্গিক কাজকর্মসহ অন্যান্য সব ইবাদত-বন্দেগিতেও স্বামীকে বুদ্ধি পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে।

ঈমানদার স্ত্রী বাড়িতে এমন পরিবেশ এবং আবহ সৃষ্টি করবে, যাতে স্বামী সারাক্ষণ পূণ্যকর্মে লিপ্ত থাকেন। অপকর্ম, অবৈধ উপার্জন এবং হারাম পেশা থেকে বিরত থাকেন।

এমনকি স্বামী যদি কোনো মন্দ কাজে লিপ্ত হন তবে ঈমানদার স্ত্রী তাকে সেই মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনবে। অবাধ্য স্বামীকে মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ সব নারীকে দ্বীনদার ও ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। পৃথিবীর সব মুমিন নারীকে নেককার সন্তান, নেককার স্ত্রী’ ও নেককার মা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরও পড়ুন >> সূরা ইখলাস ও সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলতসমুহ

Loading spinner

Check Also

১০০টি ছোট ছোট হাদিস

১০০টি ছোট ছোট হাদিস (সংক্ষিপ্ত) | গুরুত্বপুর্ণ সহীহ হাদিসের সংকলন

Spread the love১০০টি ছোট ছোট হাদিস – হাদিস হলো ইসলামের মূল শিক্ষা ও জীবন পরিচালনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *