ই-অরেঞ্জে কি ই-ভ্যালির মত হবে । সময় থাকতে সাবধান

Spread the love

দিনাজপুরের বিরামপুরের এক যুবক বিভিন্ন সময়ে মোট ৭০ লাখ টাকার পণ্য কিনতে অনলাইনে পেমেন্ট করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে, কিন্তু এখনও কোনো পণ্য পাননি।

এমনকি ফেরত পাননি অর্থও। তার মতো ঢাকার দিদার হোসেন বাবু, মাগুরার প্রসেনজিত কুমার দত্ত এবং ফরিদুপরের রিজভী আহমেদসহ দেশের ৩৩ ব্যক্তি কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে পণ্য না পাওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের।

এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ থেকে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা পাওনাদার রয়েছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারা রিট করেছেন, আর রিট আবেদনটি রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত রয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, ই-অরেঞ্জ শপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়।

আবেদনে ই-কমার্সে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা-নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ই-অরেঞ্জ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রিটে আবেদনকারী ৩৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ভাউচার এবং বিভিন্ন দ্রব্যের ক্রয়াদেশ সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরেও তাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা তাদের টাকা বুঝে পাননি।

এদিকে, প্রতারণা করে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে ১৭ আগস্ট আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

Check Also

নাটোরের লালপুর

প্রতারণার আরেক নাম নাটোরের লালপুর ইমো কিংবা বিকাশ

Spread the loveনাটোরের লালপুর আর রাজশাহীর বাঘা – প্রতারণার আরেক নাম নাটোরের লালপুর ইমো কিংবা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *