ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, পটাশ সারের বর্তমান দাম। সরকার নির্ধারিত দামে কৃষি সার বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের কাছে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে সার সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
সারের বর্তমান দাম:
১. ইউরিয়া সার কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
২. টিএসপি সার কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
৩. ডিএপি সার কেজি প্রতি ২১ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
৪. এমওপি/পটাশ সার কেজি প্রতি ২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।
বিশেষ নির্দেশনা:
• কোনো ডিলার বা বিক্রেতা সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দামে সার বিক্রি করতে পারবেন না।
• যদি কোনো কৃষক অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হন, তবে দ্রুত উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ জানাতে হবে।
• উপজেলা কৃষি অফিস প্রয়োজনীয় তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে সারের সরকারি নির্ধারিত দাম মেনে চলা সকল বিক্রেতার জন্য বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত দামে বিক্রয়ের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন :: স্বপ্নে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলে কি হয়?
কৃষি সার ব্যবহারের নির্দেশাবলী
কৃষকেরা যাতে সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সার ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হলো:
১. জমি প্রস্তুতির সময়
• জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে সমান করে নিতে হবে।
• মাটির উর্বরতা ও পূর্ববর্তী ফসলের ধরন বিবেচনা করে সার প্রয়োগ করতে হবে।
• জমি পরীক্ষার রিপোর্ট থাকলে তার ভিত্তিতে সার ব্যবহার করা সর্বোত্তম।
২. সঠিক সার নির্বাচন
• ইউরিয়া: গাছের পাতা ও ডাঁটা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন সরবরাহ করে।
• টিএসপি: মূল গজানো, ফুল ও ফল ধরায় সহায়তা করে (ফসফরাসের উৎস)।
• ডিএপি: এতে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস দুটোই থাকে, যা শস্য বৃদ্ধিতে কার্যকর।
• এমওপি/পটাশ: গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দানা ও ফল ভরাট করতে সহায়তা করে।
৩. প্রয়োগের সময়
• ইউরিয়া সার ভাগে ভাগে প্রয়োগ করতে হবে (রোপণের পর কয়েক দফায়)।
• টিএসপি ও ডিএপি জমি প্রস্তুতের সময় মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
• পটাশ সারও জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করা শ্রেয়।
৪. প্রয়োগের নিয়ম
• সার কখনো এক জায়গায় গাদ করে দেওয়া যাবে না, এতে গাছের শিকড় পুড়ে যেতে পারে।
• সার গাছের গোড়া থেকে কিছুটা দূরে প্রয়োগ করতে হবে।
• প্রয়োগের পর হালকা সেচ দেওয়া উচিত।
৫. সতর্কতা
• অতিরিক্ত সার ব্যবহার করলে উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং মাটির ক্ষতি হয়।
• সার শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
• সার প্রয়োগের সময় খালি হাতে কাজ না করে গ্লাভস ব্যবহার করা ভালো।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন