আযান ও ইকামত এর উত্তর প্রসঙ্গ বলা হয়েছে আযান ও ইকামতের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। নারী পুরুষ সকলের জন্যই আযানের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। যে মসজিদের মধ্যে রয়েছে তার জন্যও মুখে উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। পাক নাপাক সকলেরই জন্য আযানের উত্তর দেয়া মুস্তাহাব। অবশ্য ঋতুবতী মহিলা ও নেফাসওয়ালী মহিলার জন্য আযানের উত্তর দেয়ার হুকুম নেই ।
১। যে ব্যক্তি মসজিদের বাইরে রয়েছে তার জন্য ইজাবাত বিল্লিছান অর্থাৎ, মৌখিক উত্তর ছাড়াও ইজাবাত বিলকদম অথাৎ, মসজিদে জামাআতের জন্য গমন-এর মাধ্যমে উত্তর দেয়া জরুরী। তবে অপারগতার ক্ষেত্রে শুধু মুখে উত্তর দেয়াই যথেষ্ট হবে।
২। কয়েক স্থানের আযান শোনা গেলে সর্বপ্রথম যে আযান শোনা যায় (নিজের মহল্লার হোক বা ভিন্ন মহল্লার) তার উত্তর দিলেই যথেষ্ট। তবে সবটার উত্তর দিতে পারলে ভাল।
৩। জুমুআর ছানী (দ্বিতীয়) আযানের উত্তর দিতে হয় না, তবে মনে মনে মুখে উচ্চারণ ব্যতীত দেয়া যায়।
৪। যদি কেউ আযানের উত্তর না দিয়ে থাকেন এবং বেশীক্ষণ অতিবাহিত না। হয়ে থাকে, তাহলে তখন উত্তর দিবে।
৫। উযূ অবস্থায় আযান হলে উযূও করতে থাকবে আযানের উত্তরও দিতে থাকবে।
যে সব অবস্থায় আযানের উত্তর দেয়া উচিৎ নয়ঃ
ক। নামাযের অবস্থায় ।
খ। খুতবার সময়; জুমুআর খুতবা হোক বা বিবাহের খুতবা ।
গ। হায়েয অবস্থায়।
ঘ। নেফাসের অবস্থায়।
ঙ। দ্বীনি ইলম বা শরীয়তের মাসআলা-মাসায়েল শিখবার বা শিক্ষা দেয়ার সময়। কিন্তু কুরআন তিলাওয়াতের সময় আযান হলে তিলাওয়াত বন্ধ করে তার উত্তর দেয়া উত্তম বলা হয়েছে।
চ। স্ত্রী-সহবাস কালে।
ছ। পেশাব-পায়খানার সময় ।
জ। খানা খাওয়ার সময়।
আরও পড়ুন >> কুরআন তিলাওয়াত এর গুরুত্বপূর্ণ আমল সমূহ
আরও পড়ুন >> নতুন ট্রাফিক আইনে মটরসাইকেল এর ধারা, শাস্তি ও জরিমানা
ভিডিও >> পুরুষকে নষ্ট করার বড় হাতিয়ার নারী