আখেরী চাহার সোম্বা (আখেরি চাহার শোম্বা) কী?
আখেরী চাহার সোম্বা হলো আরবী মাস সফর মাসের শেষ বুধবার। অনেক জায়গায় এটিকে বিশেষ দিন হিসেবে ধরা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এ দিনেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর শেষ অসুস্থতা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে গোসল করেছিলেন। সেই স্মরণে অনেক মুসলিম সমাজে এ দিনকে গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
তবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এ দিনের বিশেষ কোনো আমল বা নামাজ/রোজার নির্দিষ্ট নির্দেশ সহীহ হাদীসে নেই। বরং লোকায়ত সংস্কৃতি ও আঞ্চলিকভাবে এর প্রচলন হয়েছে।
আখেরী চাহার সোম্বা কবে হয়?
-
হিজরী সফর মাসের শেষ বুধবার এ দিন পালিত হয়।
-
২০২5 সালে (১৪৪৭ হিজরী) আখেরী চাহার সোম্বা পড়বে ২০ আগস্ট বুধবার।
তাৎপর্য
-
মুসলমানরা নবীজীর স্মৃতি স্মরণ করে।
-
কষ্ট-দুঃখের পর আল্লাহ্ সুস্থতা ও সহজতা দান করেন—এ বিশ্বাস দৃঢ় হয়।
-
দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সুস্থতা, কল্যাণ ও রহমত প্রার্থনা করা হয়।
-
কুসংস্কার থেকে বাঁচা এবং প্রকৃত ইসলামী নির্দেশনা অনুসরণ করার শিক্ষা পাওয়া যায়।
শিক্ষা
-
দুঃখ-দুর্দশা ও রোগ-ব্যাধি আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা।
-
রোগ-শোক থেকে মুক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়।
-
কোনো দিন, সংখ্যা বা সময়কে “অশুভ” মনে করা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।
-
কুসংস্কার নয়, বরং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ইবাদত করা উচিত।
বিস্তারিত জানতে Google News অনুসরণ করুন
করণীয় বিষয়সমূহ
✅ এ দিনে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করা।
✅ দরুদ শরীফ পড়া ও নবীজীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা।
✅ দোয়ার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করা।
✅ গরীব-দুঃখীদের দান-খয়রাত করা।
✅ কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন আমল থেকে বিরত থাকা।
👉 সারসংক্ষেপে বলা যায়:
আখেরী চাহার সোম্বা মূলত সফর মাসের শেষ বুধবার, যেদিন নবী করিম (সা.) কিছুটা সুস্থ হয়ে গোসল করেছিলেন বলে বর্ণনা আছে। ইসলামে এ দিন বিশেষ কোনো আমল নির্ধারিত হয়নি। তবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কুরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা, নফল নামাজ আদায় করা—এসব করণীয়।
আরো পড়ুন >> ছয় দেশ, এক গন্তব্য এক ভিসায় 6টি দেশ ভ্রমণের সুযোগ
আখেরী চাহার সোম্বা সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে আলোচনা
📌 আখেরী চাহার সোম্বা কী?
-
সফর মাসের শেষ বুধবারকে আখেরী চাহার সোম্বা বলে।
-
বিশ্বাস করা হয় এদিন মহানবী (সা.) অসুস্থতা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে গোসল করেছিলেন।
📅 কবে হয়?
-
হিজরী ক্যালেন্ডারের সফর মাসের শেষ বুধবারে।
-
২০২৫ সালে পড়বে ২০ আগস্ট, বুধবার।
🌿 তাৎপর্য
-
নবীজীর স্মৃতি স্মরণ।
-
দুঃখ-কষ্টের পর স্বস্তি আসে—এই বিশ্বাস।
-
আল্লাহর কাছে দোয়া করার গুরুত্ব বোঝায়।
-
কুসংস্কার না মেনে সঠিক ইবাদতের শিক্ষা।
📖 শিক্ষা
-
রোগ-শোক আল্লাহর পরীক্ষা।
-
সুস্থতা একমাত্র আল্লাহর হাতে।
-
দিন বা সংখ্যা “অশুভ” নয়।
-
কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা জরুরি।
✅ করণীয়
-
নফল নামাজ পড়া।
-
কুরআন তেলাওয়াত ও দরুদ শরীফ পড়া।
-
দোয়া করা নিজের ও পরিবারের জন্য।
-
গরীবদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা।
-
কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা।
👉 সংক্ষেপে: আখেরী চাহার সোম্বা কোনো নির্দিষ্ট ইবাদতের দিন নয়, তবে কৃতজ্ঞতা, দোয়া, দান ও নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।