জেগে উঠা অভিমান (১)
—–আশিকুজ্জামান জুয়েল
পুরোনো প্রেম ফিরে এসে কুশল শুধালো
তারে বললাম- জোস্নার কাছে যেয়ে বলো
আলো জ্বালিয়েও কেন সে হাসেনা
অমাবশ্যার কাছে যেয়ে বলো
কেন সে আরো বিকষ কালো
নক্ষত্রের কাছে যেয়ে বলো
কেন সে আরো বেশী নিভু নিভু
ফুলের কাছে যেয়ে বলো
প্রস্ফুটিত হয়েও কেন তারা বিবর্ণ ধুসর
স্নেহ মমতার কাছে যেয়ে বলো
কেন আজ তারা বহুদুর
রক্ত মাংসের পান্ডুর দেহকে বলো
কেন আজ সে কংকালসার
বিশ্বাসের শিকড়ে এখনো কেন
জেগে আছে নিভু নিভু প্রাণ।
চোখ গেছে, ঘ্রাণ গেছে
এখনো কেন খুঁজে পরিচিত ধমনীর সৌরভ
আকাঙ্ক্ষার চিৎকারে প্রকম্পিত
সফেন সাগরকে বলো
তবুও কেন সে এতো উত্তাল।
জেগে উঠা অভিমান (২)
——-আশিকুজ্জামান জুয়েল
একদিন বিকেলের রোদ হয়ে
আমাকে আহবান করেছিলে
উল্কি হয়ে আকাশে ভাসতে,
শীতের তীব্রতায় ঘাসের ডগার
শিশির বিন্দু হতে
তুমি পাল উড়িয়েছিলে
আমাকে বলেছিলে সাহসী মাস্তুল হতে
জনস্রোত থেকে বের করে,
আশ্বাস দিয়েছিলে একটি নীড়ের
ক্লান্ত মাঝি কে দিতে চেয়েছিলে
আদর মাখা উষ্ণ ওম।।
তোমার চারে বরশী বিঁধে আজ আমি অসহায়
তুমি রুপ দেখিয়েছিলে
চরিত্রের স্খলনে আমি পরাজিত
তুমি অভিমান দেখিয়েছিলে
অশ্রু বৃষ্টি আমার দিনমানের সাথী
রূঢ়ত্বের প্রগাড়ে আমাকে দহনে জ্বালিয়েছিলে
পুড়ে খাক হয়ে এখন আমি অঙ্গার।
বিষ দিয়েছিলে; সেটা পান করে আজ নীলকণ্ঠ
মুখোশের অন্তরালে করেছিলে আত্মবিনাশী প্রতারনা
করতলে নিয়ে সেটাকে করে রেখেছি বেদনার সুঘ্রাণ।
শুধু পারিনি মহুয়া মুগ্ধ প্রতীক্ষ্যমাণ থেকে
যন্ত্রণা কৃষ্ট মনকে সরাতে।